National Flag of Bangladesh

 With a red circle — which represents the rising sun and the bloody sacrifices of countless Bangladeshi people for their freedom — on a bottle green background which symbolizes our wonderful natural resources, the national flag of Bangladesh stands as high as our pride and love for our motherland.The sanctity and the dignity of the National Flag is protected and officially preserved by an act of Bangladesh Flag rules, 1972. As per the rules, the national flag is rectangular in size with the length to width ratio of 10:6. Prescribed sizes of the flag for buildings are 305cm X 183cm, 152cm X 91cm and 76cm X 46cm and for vehicles are 38cm X 23cm and 25cm X 15cm. It was designed by famous artist Kamrul Hasan

National Emblem

 The National Emblem of the People’s Republic of Bangladesh. The national flower Shapla (water lily) is surrounded by two sheaves of rice. Above the water lilly are four stars and a three jute leaves. The national emblem of Bangladesh (বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক) was adopted shortly after independence in 1971. Located on the emblem is a water lily, that is bordered on two sides by rice sheaves. Above the water lilly are four stars and a three connected jute leaves. The water lily is the country’s national flower, and is representative of the many rivers that run through Bangladesh. Rice represents its presence as the staple food of Bangladesh, and for the agriculture of that nation. The four stars represent the four founding principles in the current constitution of Bangladesh of 1972: nationalism, secularism, socialism, and democracy.

 

 

Government Seal


The Government Seal of Bangladesh used by the Ministries of Bangladesh and the Government of Bangladesh on official documents. One version is used on the cover page of Bangladeshi passports. The Seal features the same design elements as the first Flag of Bangladesh in a circular setting. The outer white ring is shown with the caption of the official name of the Government of the People’s Republic of Bangladesh in Bengali: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার with 4 red 5-pointed stars. In centre the country map on a red disc.





National Flower

The Shapla (Nymphaea nouchali) is the national flower of Bangladesh. Nymphaea nouchali is considered a medicinal plant in Indian Ayurvedic medicine under the name Ambal; it was mainly used to treat indigestion. Recent experiments have confirmed that it has medicinal qualities as an antihepatotoxic and antidiabetic. Like all waterlilies or lotuses, its tubers and rhizomes can be used as food items; they are eaten usually boiled or roasted. In the case of N. nouchali, its tender leaves and flower peduncles are also valued as food.



National Fruit
The Jackfruit (Artocarpus heterophyllus) is the national fruit of Bangladesh. It is native to parts of South and Southeast Asia and widely cultivated in tropical regions of Bangladesh. The jackfruit tree is well suited to tropical lowlands, and its fruit is the largest tree-borne fruit, reaching as much as 80 pounds (36 kg) in weight, 36 inches (90 cm) in length, and 20 inches (50 cm) in diameter.

National Animal

The Royal Bengal Tiger (Panthera tigris tigris) is the national animal of Bangladesh. The tiger replaces the lion as King of the Beasts in cultures of eastern Asia representing royalty, fearlessness and wrath. Members of the East Bengal Regiment of the Bangladesh Army are nicked ‘Bengal Tigers’; the regiment’s logo is a tiger face and The Bangladesh Cricket Board’s logo features a Royal Bengal Tiger. Bangladesh teems with icons and symbols, not the least of which is the ubiquitous Royal Bengal Tiger. This majestic beast finds its home in Bangladesh, in the still pristine mangrove forests of the Sundarbans.



National Fish

The Ilish or Hilsha, also spelled Elish (Tenualosa ilisha), is national fish of Bangladesh. The Ilish is a popular fish to eat among the people of South Asia.

National Bird

The Magpie Robin (Copsychus saularis) is the national Bird of Bangladesh, where it is common and known as the Doyel or Doel. They are common birds in urban gardens as well as forests. They are particularly well known for their songs. It is a widely used symbol in Bangladesh, appearing on currency notes, and a landmark in the city of Dhaka is named as the Doyel Chatwar (meaning: Doyel Square).




 


Please Visit And Share

পোড়াদহ মেলা

 বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন লোকজ মেলা। বগুড়া জেলা শহর হতে ১১ কিলোমিটার পূর্বদিকে ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ নামক স্থানে প্রতি বছর যে মেলা বসে তাই “পোড়াদহ মেলা” নামে পরিচিত।বাংলাদেশে যে কয়টি গ্রাম্য মেলা পুরাতন জৌলুষ নিয়ে সগর্বে টিকে আছে তার মধ্যে বগুড়ার 'পোড়াদহ মেলা' অন্যতম। প্রায় চার শত বছর পূর্বে শুরু হওয়া মেলাটি আজও তার পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।



পটভূমি

পোড়াদহ মেলা, যাকে বলা হয় ঐতিহাসিক পোড়াদহ মেলা শুরুর সঠিক সাল জানা যায় না। তবে বলা হয় বর্তমান সময় থেকে প্রায় চারশত বছর পূর্বে কোন এক সময়ে মেলা সংগঠনের স্থানে একটি বিশাল বটবৃক্ষ ছিল। একদিন হঠাৎ করে সেখানে এক সন্ন্যাসীর আবির্ভাব হয়। তারপর সেখানে দলে দলে সন্ন্যাসীরা এসে একটি আশ্রম তৈরি করে। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়েরর কাছে সেটি একটি পূণ্য স্থানে পরিনত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ দিনের কাছের (শেষ দিনের পূর্বের অথবা শেষ দিনের পরের বুধবার) সন্ন্যাসী পূজার আয়োজন করে। দুরদুরান্ত থেকে ভক্তরা প্রতি বছর সেই দিনটিতে এসে সমাগত হতে থাকে। দিন গড়ানোর সাথে সাথে প্রতিবছর লোকসমাগম বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে পূজার দিনটিতে একটি গ্রাম্য মেলার গোড়াপত্তন হয়। এক সময় সন্ন্যাসীরা স্থানটি ত্যাগ করে চলে গেলেও হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাসী পুজাটি বন্ধ করে দেয়নি। ধীরে ধীরে মেলাটির পরিচিতি বাড়তে থাকে। দুর দুরান্তথেকে মেলা দেখতে লোকজন আসে। পুজা পার্বণ মুলত হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও এই মেলা ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে সব ধর্মের মানুষকে উৎসবে একত্র করে। এখন সন্ন্যাসী পুজাটি চালু থাকলেও সকল ধর্মের হাজার হাজার মানুষ মেলাতে এসে উপস্থিত হয়।

নামকরণের ইতিহাস

সন্ন্যাসী পুজা উপলক্ষে মেলাটি শুরু হয়েছিল তাই এর নাম প্রথম অবস্থায় ছিল সন্ন্যাসী মেলা। মেলাটি পোড়াদহ নামক স্থানে সংগঠিত হয়। লোক মুখে স্থানের নাম অনুসারে পোড়াদহর মেলা হিসাবে চলতে চলতে একসময় এর নাম পোড়াদহ মেলা হিসাবে প্রচলিত হয়ে যায়। মেলা উপলক্ষে আশেপাশের গ্রামের যেসব মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে তারা জামাই নিয়ে বাপের বাড়িতে হাজির হয় বলে অনেকে একে 'জামাই মেলা' হিসাবে সম্মোধন করেন। আবার মেলায় বড় বড় হরেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় বলে কিছু লোক একে 'মাছের মেলা' বলে ডেকে থাকেন। বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে সম্মোধন করলেও এটি মূলত 'পোড়াদহ মেলা' নামেই সবার কাছে পরিচিত।

মেলার সময়কাল

মেলা মূলত একদিন বুধবার। সেদিন দুর দুরান্তের মানুষ মেলায় আসে। তবে একদিনের মেলা হলেও স্থানীয়ভাবে সপ্তাহব্যাপী উৎসব লেগে থাকে। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে আত্বীয় স্বজনরা এসে জড়ো হয়। চারিদিকে উৎসব মুখোর অবস্থা বিরাজ করে। মূলমেলার পরদিন বৃহস্পতিবার একই স্থানে এবং আশেপাশের গ্রামে গ্রামে চলে ছোট আকারের বউ মেলা। মূল মেলাটি সরকারী তত্বাবধানে আয়োজন করা হলেও বউ মেলা স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্দোগে আয়োজন করা হয়। গ্রামের যেসব মহিলা কাজের চাপে অথবা রক্ষনশীল মনমানসিকতার কারনে মূল মেলায় যেতে পারেনা তাদের জন্যই বিশেষ করে এই আয়োজন করা হয়। বউ মেলার একটি বিশেষত্ব হলো এখানে শুধুমাত্র মেয়েরা প্রবেশ করতে এবং কেনাকাটা করতে পারে।

কেনাকাটা

মাছ

পোড়াদহ মেলার প্রধান আকর্ষন মাছ। মেলায় পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রকমের বড় বড় মাছ। বড় বড় মাছ গুলো প্রথমে ভোর বেলায় মেলায় স্থাপিত অস্থায়ী আড়ৎগুলোতে এসে জমা হয়। সেখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছগুলো কিনে মেলার নিজ নিজ দোকানে নিয়ে যায়। দোকানগুলোতে দিনভর কেনাকাটা চলতে থাকে। মেলায় আসা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, সিলভার কার্প, কালবাউস, পাঙ্গাস মাছ ইত্যাদি। মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রয় হয় 'বাঘা আইড়' মাছ স্থানীয় ভাবে যাকে 'বাগাড়' মাছ বলা হয়। মেলায় দুই মন থেকে আড়াই মণ ওজনের বাঘা আইড় পাওয়া যায়। এছাড়া পনের থেকে বিশ কেজি ওজনের রুই কাৎলা পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যায়।

আসবাবপত্র

মেলায় কাঠের, স্টিল ও লোহার বিভিন্ন ডিজাইনের আসববাপত্র যেগুলো অনেক সূলভ মূল্যে পাওয়া যায়।

কসমেটিক ও গিফট সামগ্রী

মেলায় বিভন্ন জেলা হতে লোকজন উন্নতমানের কসমেটিক, খেলনা, গিফট সামগ্রী এর দোকান দেয়। সাধারণত শিশু এবং মহিলাদের ভিড় লেগে থাকে। আছে চুড়ি, কানের দুল, মালা, কাজল, মেকাপ বক্স সহ সকল সাজার জিনিস। খেলনার মধ্যে থাকে ব্যাট, বল ভিডিও গেমস ইত্যাদি।

মিষ্টি

পোড়াদহ মেলার অন্যতম আকর্ষন মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জিলাপী, নিমকি, তিলের নাড়ু, খই, শুকনা মিষ্টি। আরও আকর্ষনীয় হলো বড় বড় আকারের মিষ্টি। একেকটি মিষ্টি দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়ে থাকে।

খাবারের দোকান

মেলায় লোকজনের খাওয়া দাওয়ার জন্য বসানো হয় অস্থায়ী হোটেল, আছে ফুচকা চটপটি, ভাজাপোড়া ও আইসক্রীমের দোকান।

বিবিধ

মেলা উপলক্ষে দৈনন্দিন জিনিসের বাজার বসে। মাংস, কাঁচাবাজার, মসলা, গৃহস্থালীর দৈনন্দিন জিনিস পত্র যেমন ছুরি, দা, বটি এগুলোও পাওয়া যায়।

বিনোদন

মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি রয়েছে বিনোদনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। ছোট থেকে বড় সকলের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বিনোদনের ব্যবস্থা। ছোটদের জন্য আছে নাগড়দোলা, মিনি ট্রেন, ঘোড়ার গাড়ি, সার্কাস। বড়দের জন্য রয়েছে মটর সাইকেল খেলা, যাত্রাপালা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।























 নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়।[১] এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে এলাকাজুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে।



অবস্থান

 সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর থেকে উত্তর দিকে[৩] হাঁটাপথেই পৌঁছানো যায় অর্ধ্বচন্দ্রাকৃতি পানাম পুলে। (যদিও পুলটি ধ্বংস হয়ে গেছে)। পুলটির দৈর্ঘ্য ছিলো ৭২ ফুট আর প্রস্থ ছিলো ১৫.৫ ফুট[৪], মাঝখানটা ছিলো উঁচু। এই পুল পেরিয়েই পানাম নগর এবং নগরী চিরে চলে যাওয়া পানাম সড়ক। আর সড়কের দুপাশে সারি সারি আবাসিক একতলা ও দ্বিতল বাড়িতে ভরপুর পানাম নগর।[১]

ইতিহাস

১৫ শতকে ঈসা খাঁ বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেছিলেন সোনাগাঁওয়ে। পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদীপথে বিলেত থেকে আসতো বিলাতি থানকাপড়, দেশ থেকে যেতো মসলিন। শীতলক্ষ্যা আর মেঘনার ঘাটে প্রতিদিনই ভিড়তো পালতোলা নৌকা। প্রায় ঐসময়ই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠে পানাম নগরী।[৪] পরবর্তিতে এই পোশাক বাণিজ্যের স্থান দখল করে নেয় নীল বাণিজ্য। ইংরেজরা এখানে বসিয়েছিলেন নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র।[১]
ডব্লিউ. ডব্লিউ. হান্টার-এর অভিমত হলো, সুলতানী আমলে পানাম ছিলো সোনারগাঁর রাজধানী। কিন্তু পানামে, সুলতানী আমলের তেমন কোনো স্থাপত্য নজরে পড়ে না, তাই এই দাবিটির সত্যতা ঠিক প্রমাণিত নয়। এক্ষেত্রে জেম্‌স টেলর বলেছেন, সোনারগাঁর প্রাচীন শহর ছিলো পানাম। এই তত্ত্বটির সাথে বাস্তবের কোনো বিরোধ নেই। শহরটিতে ঔপনিবেশিক ধাঁচের দোতলা এবং একতলা বাড়ি রয়েছে প্রচুর। যার বেশিরভাগ বাড়িই ঊনবিংশ শতাব্দির (১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের নামফলক রয়েছে)। মূলত পানাম ছিলো হিন্দু ধনী ব্যবসায়ীদের বসতক্ষেত্র। ব্যবসায়ীদের ব্যবসা ছিলো ঢাকা-কলকাতা জুড়ে। তারাই গড়ে তোলেন এই নগর।[১]
১৬১১ খ্রিস্টাব্দে মোঘলদের সোনারগাঁ অধিকারের পর সড়ক ও সেতু নির্মাণের ফলে রাজধানী শহরের সাথে পানাম এলাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়। পানাম পুল (বিলুপ্ত), দুলালপুর পুল ও পানামনগর সেতুর অবস্থান ও তিনদিকের খাল-বেষ্টনী থেকে বোঝা যায় পানাম, সোনারগাঁর একটা উপশহর ছিলো।[৪]
বাংলার স্বাধীন রাজা ঈসা খাঁর পদচারণা ছিলো এই নগরীতে। সুলতানী আমল থেকে এখানে বিকশিত ছিলো বাংলার সংস্কৃতি।[১]

বিবরণ

পানামের টিকে থাকা বাড়িগুলোর মধ্যে ৫২টি বাড়ি উল্লেখযোগ্য।[১] পানাম সড়কের উত্তর পাশে ৩১টি আর দক্ষিণ পাশে ২১টি বাড়ি রয়েছে। বাড়িগুলোর অধিকাংশই আয়তাকার, উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত, উচ্চতা একতলা থেকে তিনতলা।[৪] বাড়িগুলোর স্থাপত্যে ঔপনিবেশিকতা ছাড়াও মোঘল, গ্রিক এবং গান্ধারা স্থাপত্যশৈলীর সাথে স্থানীয় কারিগরদের শিল্পকুশলতার অপূর্ব সংমিশ্রণ দেখা যায়। প্রতিটি বাড়িই ব্যবহারোপযোগিতা, কারুকাজ, রঙের ব্যবহার, এবং নির্মাণকৌশলের দিক দিয়ে উদ্ভাবনী কুশলতায় ভরপুর।[১] ইটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ঢালাই-লোহার তৈরি ব্র্যাকেট, ভেন্টিলেটর আর জানালার গ্রিল। মেঝেতে রয়েছে লাল, সাদা, কালো মোজাইকের কারুকাজ। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খিলান ও ছাদের মধ্যবর্তি স্থানে নীল ও সাদা ছাপ দেখা যায়।[৪] এছাড়া বাড়িগুলোতে নকশা ও কাস্ট আয়রনের কাজ নিখুঁত। কাস্ট আয়রনের এই কাজগুলো ইউরোপের কাজের সমতূল্য বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এর সাথে আছে সিরামিক টাইল‌্‌সের রূপায়ণ। প্রতিটি বাড়িই অন্দরবাটি এবং বহির্বাটি -এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। বেশিরভাগ বাড়ির চারদিকের ঘেরাটোপের ভিতর আছে উন্মুক্ত উঠান।[১]
পানাম নগরীর পরিকল্পনাও নিখুঁত। নগরীর পানি সরবাহের জন্য দুপাশে ২টি খাল ও ৫টি পুকুর আছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আছে কুয়া বা কূপ। নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে করা হয়েছে খালের দিকে ঢালু। প্রতিটি বাড়ি পরস্পরের থেকে সম্মানজনক দূরত্বে রয়েছে। নগরীর যাতায়াতের জন্য রয়েছে এর একমাত্র রাস্তা, যা এই নগরীর মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে এপাশ-ওপাশ।[১]
নগরীর ভিতরে আবাসিক ভবন ছাড়াও আছে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, মঠ, গোসলখানা, নাচঘর, পান্থশালা, চিত্রশালা, খাজাঞ্চিখানা, দরবার কক্ষ, গুপ্ত পথ, বিচারালয়, পুরনো জাদুঘর। এছাড়া আছে ৪০০ বছরের পুরোন টাঁকশাল বাড়ি। সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর থেকে পশ্চিম দিকে রয়েছে গোয়ালদী হোসেন শাহী মসজিদ। এ মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহীর শাসনামলে নির্মিত হয়। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা দিয়ে একটু দক্ষিণ দিকে গেলে রয়েছে আরো কিছু ইমারত, বারো আউলিয়ার মাজার, হযরত শাহ ইব্রাহিম দানিশ মন্দা ও তাঁর বংশধরদের মাজার, দমদম গ্রামে অবস্থিত দমদমদুর্গ ইত্যাদি।[৩] এছাড়াও নগরীর আশেপাশে ছড়িয়ে আছে ঈসা খাঁ ও তাঁর ছেলে মুসা খাঁর প্রমোদ ভবন, ফতেহ শাহের মসজিদ, সোনাকান্দা দুর্গ, পঞ্চপীরের মাজার, কদম রসুল, চিলেকোঠাসহ বহু পুরাতাত্ত্বিক গুরুত্ববহ স্থাপনা।[১]

নীলকুঠি

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নীলচাষের নির্মম ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে রয়েছে পানামের নীলকুঠি। পানাম পুলের কাছে দুলালপুর সড়কের পাশেই এর অবস্থান। জানা যায়, শুরুতে এটি কোম্পানীর মসলিন বস্ত্র ক্রয়কেন্দ্রের দপ্তর ভবন হলেও পরে কুঠিটি নীল ব্যবসাকেন্দ্র হয়ে ওঠে। যদিও বর্তমানে (২০০৪) নীলকুঠির মূল রূপ ঢাকা পড়ে গেছে নতুন করে করা পলেস্তারার নিচে।[৪]

পানাম-দুলালপুর পুল

পঙ্খীরাজ খালের ওপর ১৭ শতকে এই পুলটি নির্মিত হয়েছিলো, যা আমিনপুর ও দুলালপুর গ্রামের সংযোগ রক্ষা করছে। তিনটি খিলানের উপর পুলটি স্থাপিত। পুলের নিচ দিয়ে পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের সুবিধা দিতে মাঝখানের খিলানটি কিছুটা উঁচু করে বানানো। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে পুলটিতে সংস্কারকাজ চালানো হয়।[১]

উল্লেখযোগ্য ঘটনা

একবার পারস্যের খ্যাতিমান কবি হাফিজ-কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তৎকালীন বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহ। বৃদ্ধ কবি হাফিজ সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আসতে না পেরে একটা গজল রচনা করে উপহার পাঠান সুলতানকে। এই গজলের সূত্র ধরেই ফার্সি এক পর্যটক এসেছিলেন সোনারগাঁ-তে, আর মুগ্ধ হয়েছিলেন পানাম নগরীর সৌন্দর্য্য দেখে

অবক্ষয়

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় হিন্দু ব্যবসায়ীদের এই বসতি স্বাভাবিকভাবেই ছিলো লুটেরাদের লক্ষ্যবস্তু। ঐ সময় লুটেরারা দরজা-জানালা পর্যন্ত লুটে নিয়ে যায়। যুদ্ধের সময় বহু হিন্দু ব্যবসায়ী ভারতে পাড়ি জমালে পানাম প্রায় জনমানবহীন হয়ে পড়ে। সেই শুরু, তারপর থেকে আর জেগে উঠেনি পানাম। এরপর সরকারিভাবে বাড়িগুলোতে মনুষ্যবসতি গড়ার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার (১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের) আগে ও পরে বাড়িগুলো ১০-১৫ বছরের ইজারা দেয়া হয় এবং পরে নবায়নও করা হয়।[৪] মূল বাসিন্দাদের অবর্তমানে বাড়িগুলো অযত্নে ক্ষয়ে যেতে থাকে। ফলে বর্তমানে (২০০৪) আর ইজারা নবায়ন করা হয় না।
পানাম নগরের মূল প্রবেশ পথের ছোট্ট খালটির উপরে একটি সেতু ছিলো, যার কোনো অস্তিত্ব আর অবশিষ্ট নেই।[৪] অযত্ন আর অবহেলায় পানাম নগরের বাড়িঘরগুলোতে শ্যাওলা ধরেছে, ভেতরের পরিবেশটা স্যাঁতস্যাঁতে, গোমট। বাড়িগুলোর দেয়ালে গজাচ্ছে গাছপালা, অনেক বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেছে গাছের শিকড়। অনেক ঘরের চৌকাঠ ও রেলিং খুলে পড়েছে। চুরি হচ্ছে কড়িকাঠ ও তক্তা। ফলে বিভিন্ন সময় বাড়িগুলোর ছাদ ধ্বসে পড়ছে, ভেঙ্গে পড়ছে সিঁড়ি ও দেয়াল। পরিত্যক্ত এসব বাড়িগুলোর অনেকগুলোতে মানুষ কিংবা পশু-পাখি মলমূত্র ত্যাগ করে থাকে।[১] অনেক বাড়িরই সিরামিক টাইল্‌সে ভাঙ্গন ধরেছে, খিলানে ধরেছে মরিচা। কোনো কোনো বাড়ির কার্ণিশে গজিয়েছে আগাছা।[৪] এমনকি ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে দুটো বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে।[২]
এখনও (২০০৪) অন্তর্বাটি-বহির্বাটি উভয়ই টিকে আছে এরকম ৪০টি বাড়ি রয়েছে পানামে। একটি বাড়িতে বিশাল নাচঘর পর্যন্ত টিকে আছে, যার চারদিকে একতলা ও দোতলায় দর্শকের বসার ব্যবস্থা আছে। এখন সেই নাচঘরে বসে জুয়াড়ি আর নেশাখোরদের আড্ডা।[৪]


পানাম উদ্ধার

পানাম নগরীর ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর পুণরুদ্ধারে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। সরকারিভাবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে নেয়া হয়েছে পানাম নগরের (সোনারগাঁ) প্রাচীন স্থাপত্য অবকাঠামো সংস্কার-সংরক্ষণ নামে একটি প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৪০টি ভবনের সংস্কার, ৪টি পুকুরঘাট মেরামত ও পুণর্নির্মাণ, সেতু সংস্কার, প্রত্নসামগ্রী ক্রয় ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র তৈরি। বিশেষজ্ঞ কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রকল্প।[৪]
ইতোমধ্যেই এই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার করা হয়েছে বিভিন্ন ভবন। তবে সংস্কার কার্যক্রমের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানলেও সংস্কার কার্যাবলীতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি অনেক বিশেষজ্ঞ ও ঐতিহাসিক। অনেক ভবনকে সংস্কারের নামে মূল স্থাপত্যিক সৌন্দর্য্য ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বিশেষজ্ঞ দলে বিদেশী বিশেষজ্ঞ নেয়া হলে এজাতীয় ভুল হতো না বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।[৪] তাছাড়া পর্যাপ্ত তথ্য সংরক্ষণ ছাড়াই কাজে হাত দেয়া হয়েছে বলেও অনেকের অভিযোগ রয়েছে। যেমন: সংস্কার কার্যক্রমে ১০০ বছরের পুরোন কাশীনাথ ভবনের পুরোন অলংকরণ ফেলে দিয়ে নতুন করে অলংকরণ করা হয়েছে। তাছাড়া অতীতের ছোট ও চ্যাপ্টাকৃতি ইটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে বর্তমানের বড় আকারের ইট।[২]

তথ্যসূত্র:https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8_%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE

আহসান মঞ্জিল(Ahsan manzil )




আহসান মঞ্জিল 
 পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের প্রাসাদ। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ-র নামানুসারে এর নামকরণ করেন। এর নির্মাণকাল ১৮৫৯-১৮৭২ সাল। ১৯০৬ সালে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিষ্ঠাতাকাল ১৮৭২। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি একটি জাদুঘর।







ইতিহাস

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জালালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ আহসান মঞ্জিলের বর্তমান স্থান রংমহল নামে একটি প্রমোদভবন তৈরি করেন। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র রংমহলটি এক ফরাসি বণিকের নিকট বিক্রি করে দেন। বাণিজ্য কুটির হিসাবে এটি দীর্ঘদিন পরিচিত ছিল। এরপরে ১৮৩৫-এ বেগমবাজারে বসবাসকারী নওয়াব আবদুল গণির পিতা খাজা আলীমুল্লাহ এটি ক্রয় করে বসবাস শুরু করেন। নওয়াব আবদুল গণি ১৮৭২ সালে প্রাসাদটি নতুন করে নির্মাণ করান। নতুন ভবন নির্মাণের পরে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র খাজা আহসানউল্লাহর নামানুসারে এর নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল। ১৮৯৭ সালে ১২ই জুন ঢাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলে আহসান মঞ্জিলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। আহসান মঞ্জিলের দক্ষিণের বারান্দাসহ ইসলামপুর রোড সংলগ্ন নহবত খানাটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীকালে নবাব আহসানুল্লাহ তা পুনঃনির্মাণ করেন।






স্থাপত্যশৈলী

এই প্রাসাদের ছাদের উপর সুন্দর একটি গম্বুজ আছে। এক সময় এই গম্বুজের চূড়াটি ছিল ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ। মূল ভবনের বাইরে ত্রি-তোরণবিশিষ্ট প্রবেশদ্বারও দেখতে সুন্দর। একইভাবে উপরে ওঠার সিঁড়িগুলোও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি মনোরম খিলান আছে যা সবচেয়ে সুন্দর। আহসান মঞ্জিলের অভ্যন্তরে দু’টি অংশ আছে। বৈঠকখানা ও পাঠাগার আছে পূর্ব অংশে। পশ্চিম অংশে আছে নাচঘর ও অন্যান্য আবাসিক কক্ষ। নিচতলার দরবারগৃহ ও ভোজন কক্ষ রয়েছে। সূ্ত্র : উইকিপিডিয়া



 সুন্দরবন


একবিংশ শতাব্দীর দ্রুত বিকাশমান একটি শিল্প পর্যটন। প্রাকৃতিক সম্পদের লীলাভূমি বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের এক অপার সম্ভাবনাময় দেশ। দ্রুত প্রসারণশীল এই শিল্প বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যেমন অভাবনীয় সুফল বয়ে এনেছে, আবার এর নেতিবাচক প্রভাবও নেহাত কম নয়। বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন তো আছেই, সাথে সাথে এ দেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নে অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অসচেতনতা, অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ডের কারণে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য অধিকমাত্রায় হুমকির মুখে হয়ে পড়ছে। প্রকৃতিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা, সমাজ-সংস্কৃতি ও পর্যটন বহুলাংশে আবর্তিত হচ্ছে  জীববৈচিত্র্যকে কেন্দ্র করে। এ অবস্থায় নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টিকে উপজীব্য করে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য বান্ধব পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনতে পর্যটন শিল্পের টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর পর্যটন এলাকা থাকার পর ও আমাদের দেশে বিদেশি র্পযটনের সংখ্যা যেন দিনে দিনে কমেই চলেছে । এর প্রধান কারণ হল পর্যটন ক্ষেত্রে অব্যবস্হাপনা । বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমার বিনিত আবেদন আপনার একটু সুদৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে পারে র্পযটন ক্ষে্ত্রে এক অপার সাফল্য।


নিচে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কিছু নজির বিহীন সুন্দর ছবি দেয়া হল যা প্রমাণ করবে বাংলাদেশ এক অপার লাবন্যময়ী দেশ।

সুন্দরবন
 সুন্দরবনের মাঝে ঘুরে বেরানো  হরিণ।
 নিজের শরীর সম্প্রসারণ করে গাছ থেকে পাতা খাচ্ছে হরিণ।
 এই ভাবেই ভ্রমন পিয়াসু মানুষ ছোট ডিঙ্গি নৌকাতে  ঘুরে ঘুরে দেখে সুন্দরবন।
 সুন্দরবনের ঐতিহ্যবাহী রয়েল বেঙ্গল টাইগার(বাঘ)




 সুন্দরবনে সুন্দর পাখি।

 এই গাছের নাম সুন্দরী গাছ । এই গাছের নাম থেকেই এই বনের নাম হযেছে সুন্দরবন ।কারণ এই সুন্দরী গাছটি এই বনে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।


 সুন্দর বনের আরেকটি অপরূপ সুন্দর কথা বলা পাখি টিয়া।
Copyright © 2013 Beautiful Bangladesh